উলিপুর সরকারি কলেজ, উলিপুর উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ। এটি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ০১-০৭-১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে জাতীয়করণ করা হয়।
১৯৬৪ খিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠাকালে এ কলেজের নাম ছিল উলিপুর বি. ডি. কলেজ অর্থাৎ উলিপুর বেসিক ডেমোক্রাটস কলেজ। উলিপুরের বেসিক ডেমোক্রাটদের প্রচেষ্টা এবং অর্থায়নে কলেজ স্থাপিত হয়েছিল বলে এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘উলিপুর বেসিক ডেমোক্রাটস কলেজ’, সংক্ষেপে উলিপুর বি, ডি, কলেজ।
১৯৬৪ খ্রি. -এর এপ্রিল/মে মাসে প্রয়াত হেমেন্দ্র চন্দ্র দত্ত মহাশয়ের বৈঠক খানায় একদিন উলিপুরে কলেজ স্থাপন করার সম্ভাবনার বিষয়ে হঠাৎই কথা উঠে। উপস্থিত সকলেই কলেজ করার পক্ষে মত দেন এবং দায়িত্ব দেন দত্ত মহাশয়কে। দত্ত মহাশয় ছিলেন কুড়িগ্রাম মহুকুমা আদালতের অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট। তাছাড়া তিনি ছিলেন বি,ডি, এবং ধামশ্রেণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। উলিপুর থানার ধর্মীয়, সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান যথেষ্ট ছিল।Read More
প্রয়াত হেমেন্দ্র চন্দ্র দত্ত মহাশয়ের নেতৃত্বে উলিপুর থানার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বৈঠক হয় এবং উলিপুরে কলেজ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রাথমিকভাবে ১৭০০০.০০/- হাজার টাকা অনুদান দিয়ে তহবিল সংগ্রহ করবেন এবং এ টাকা থেকে কলেজের জন্য সংরক্ষিত তহবিলের টাকা প্রদান করে কলেজ শুরু করা হবে ১লা জুলাই ১৯৬৪ খ্রি. থেকে মর্মে ন্তহয়। শিক্ষানুরাগী এই সব চেয়ারম্যান ছিলেন ঃ- জনাব হেমেন্দ্র চন্দ্র দত্ত (ধামশ্রেণি), জনাব মীর ইসমাইল হোসেন (চাকিরপশার), জনাব মোঃ আসলাম আলী ব্যাপারী (বিদ্যানন্দ), জনাব কাজী মজিবুর রহমান (থেতরাই), জনাব মোঃ আব্দুল করিম সরদার (উলিপুর), জনাব মোঃ গোফরান আলী সরদার (গুনাইগাছ), জনাব মোঃ কাচু মামুদ (হাতিয়া), জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ (পান্ডুল), জনাব ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ (তবকপুর), জনাব মোঃ আবুল হোসেন (বজরা), জনাব মোঃ দবির উদ্দিন সরকার (দলদলিয়া), জনাব মোঃ বকিয়ত উলাহ সরকার (ধরনী বাড়ী), জনাব মোঃ আব্বাছ আলী সরকার (বুড়াবুড়ি), জনাব মোঃ হায়বর রহমান (দূর্গাপুর), জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার (নাজিমখাঁ), উমর মজিদ ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দু’জনের নাম সংগ্রহ করা যায়নি।উলিপুর বি,ডি, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময়ে থানা সার্কেল কর্মকর্তা (উন্নয়ন) ছিলেন জনাব কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর শিক্ষানুরাগ, ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টা প্রাথমিক পর্যায়ে কলেজের উন্নয়নে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। উলিপুর এম, এস, উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রক্তন প্রধান শিক্ষক মরহুম জনাব সৈয়দ হামিদুর রহমান কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ছিলেন দত্ত মহাশয়ের ঋৎরবহফ, চযরষড়ংড়ঢ়যবৎ ধহফ এঁরফব. স্বরূপ। কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সর্ববিষয়ে তিনি দত্ত মহাশয়কে সাহায্য, সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতেন। তিনি কলেজ পরিচালনার জন্য গঠিত প্রথম এডহক কমিটির সদস্যও ছিলেন। অন্যান্য সদস্য ছিলেন প্রয়াত হেমন্দ্র চন্দ্র দত্ত, সি, ও, (ডেভ) প্রয়াত দ্বিজেন্দ প্রসাদ পান্ডে এবং মরহুম ডঃ মনির উদ্দিন।
কলেজের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছিল এম, এস, উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন শেডের দুটি কক্ষে। আর একটি কক্ষে ছিল অধ্যক্ষের কার্যালয়। একটি কক্ষে ছিল শিক্ষকদের বিশ্রামাগার। ১৯৬৪ খ্রি. ১৩৫ জন ছাত্রছাত্রী কলেজে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র ৫ জন ছাত্রী। এই ৫ জন ছাত্রীর মধ্যে ১ জন গৃহিনী। ১৯৬৫ খ্রি. ভর্তি হয়েছিল ১০৫ জন ছাত্র ও ৫ জন ছাত্রী। প্রায় এক বছর এখানে কলেজ চলার পর মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র নন্দীর বাহারবন্দ পরগনার অধিগ্রহণকৃত কাচারী এবং রেকর্ডরুম বন্দোবস্ত (লিজ) নিয়ে সেখানে কলেজটি স্থানান্তর করা হয়। যে বৃহৎ টিনের ঘরটি উলিপুর মহিলা কলেজের ছাত্রী নিবাস ব্যবহৃত হচ্ছে সেটিই ছিল শ্রেণি কক্ষ। কলেজটি বর্তমান স্থান চলে আসে ১৯৮০ খ্রি.।
পূর্বেই উলেখ করা হয়েছে বি,ডি চেয়ারম্যানদের অনুদানে কলেজের যাত্রা শুরু। শুধুমাত্র তাদের অনুদানের ওপর নির্ভর না করে কলেজের আর্থিক সঙ্গতি বাড়াবার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর মধ্যে আমন মৌসুমে ১৭টি ইউনিয়নের অবস্থাপন্ন গৃহস্থের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করা হত। ৫/৬ বছর এভাবে ধান সংগ্রহের অভিযান চলে। এ কাজে ১৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক বৃন্দ, উলিপুর ও গুনাইগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ভদ্র মহোদয়গণ অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ পর্যায়ে যাঁদের নাম স্মরণ করতে হয় তাঁরা হলেন – প্রয়াত রমনী মোহন সরকার, দ্বিজেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, রাজেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কানাই লাল সরকার, ডাঃ মনির উদ্দিন, ইউসুফ মিয়া, পন্ডিত মুহর উদ্দিন, জালাল উদ্দিন আহমেদ, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, আনিস উদ্দিন আহমেদ, জসিম উদ্দিন সরকার, গোলাম মাহবুব চৌধুরী, আবুল কাশেম মিয়া, ইবরাহিম মিয়া, আজিজার রহমান সরদার, সুভাষ চন্দ্র রায়, আব্দুর রব সরদার, জনাব হরি গোপাল সরকার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
১৯৬৪ খ্রি. মরহুম আব্দুর রব সরদার কুড়িগ্রাম কলেজের ছাত্র থাকাকালে উলিপুর কলেজ সৃষ্টির উদ্যোক্তাদের সাথে যোগ দিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। ছাত্র বেতন, ধান বিক্রয়ের টাকা, চেয়ারম্যানদের অনুদানের সাথে সাথে কলেজের আয়ের অন্য উৎস ছিল যাত্রাগান থেকে প্রাপ্ত অর্থ। প্রতিবছর কাচারীর মাঠে আয়োজিত যাত্রাগান থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ কলেজকে দেয়া হত যা থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদান এবং প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র তৈরি করা হত। কলেজের আয় বাড়াবাব জন্যে হাতিয়ায় বকশীদের এবং গুনাইগাছের নন্দু নেফরায় বারুইদের পরিত্যাক্ত এবং অধিগৃহীত সম্পত্তি বাৎসরিক ভিত্তিতে বন্দোবস্ত (লিজ) নেয়া হয়েছিল। উলিপুর হাটের ইজারাদারের নিকট থেকেও কলেজের জন্যে চাঁদা আদায়ের ব্যবস্থা ছিল। অবশ্য বাংলাদেশে স্বাধীন হবার পর উলিপুর হাট এবং আরও ৩/৪টি ছোট ছোট হাট কলেজের নামে ডেকে নেয়া হয়। ১৯৭৮/১৯৭৯ খ্রি. পর্যন্ত এ ব্যবস্থা বলবৎ ছিল। হাট ডাকার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন মরহুম আব্দুর রব সরদার। মরহুম আব্দুর রব সরদার পরবর্তী সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মরহুম আব্দুর রব সরদার দীর্ঘ দিন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
১৯৬৪ খ্রি. কলেজ স্থাপনের সময়েই দুটি বিভাগ খোলা হয়। মানবিক এবং বাণিজ্য। বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয় ১৯৬৯ খ্রি.। কলেজের প্রথম পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারী বৃন্দ ছিলেন ঃ
১। এ. রফিকুল ইসলাম,অধ্যাপক, ইংরেজি
২। মোঃ মোজাম্মেল হক,অধ্যাপক,অর্থনীতি
৩।মিঃ নিত্য রঞ্জন কাপুড়িয়া,অধ্যাপক,বাংলা
৪।সুধাংশু মোহন সরকার,বাণিজ্য বিভাগ
৫।খন্দকার ই, টি,আতিউলাহ,অধ্যাপক,দর্শন
৬।মোঃ আব্দুল হাই,অধ্যাপক,ইতিহাস
৭।মোঃ মোতাসিম উদ্দিন খান,অধ্যাপক,রাষ্ট্রবিজ্ঞান
মরহুম এ, রফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। সে সময়ে বেসরকারি কলেজে যাঁরা অধ্যাপনা করতেন তাঁদের পদ ছিল অধ্যাপকের। ১৯৬৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হলে নিম্নলিখিত চার জন অধ্যাপক কলেজে যোগদান করেন।
১। মোঃ সাইদুল ইসলাম মোন্তাজির অধ্যাপক, পদার্থ বিদ্যা
২। মোঃ মাহবুর হোসোনঅধ্যাপক,জীববিদ্যা
৩।মোঃ গোলাম নুরঅধ্যাপক,রসায়ন
৪।মোঃ সিরাজুদ্দৌলাঅধ্যাপক,গণিত
কলেজের প্রথম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মরহুম এ, রফিকুল ইসলাম এর পর কলেজের প্রথম পূর্ণ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন ইংরেজির অধ্যাপক জনাব মোঃ আব্দুর রশিদ।
পরবর্তীতে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভায় ন্তগ্রহণ করে বি, ডি শব্দ দু’টি বাদ দিয়ে কলেজের নামের সাথে ডিগ্রী শব্দটি যোগ করা হয় এবং কলেজটি উলিপুর ডিগ্রী কলেজ নামে বোর্ডে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্তি হয়। ১৯৭০ খ্রি. স্নাতক শ্রেণি খোলা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মতো স্নাতক শ্রেণিতেও দু’টি বিভাগ বিএ ও বিকম। স্নাতক শ্রেণিতে বি এসসি বিভাগ খোলা হয় ১৯৮০ খ্রি.। ১৯৮০ খ্রি. পর্যন্ত কলেজের নিজস্ব ভবন ছিলনা। ১৯৬৫ খ্রি. লিজ নেয়া মহারাজার কাচারীতেই কলেজ চলছিল। অবশ্য ১৯৬৮/১৯৬৯ খ্রি. কলেজের বর্তমান স্থানের জমি ক্রয় করা হয়। জায়গাটি ছিল রেলওয়ের ইটভাটা। বেশ নীচু জায়গা। সে সময়েই মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। টেষ্ট রিলিফের গম দিয়ে দু’তিন বছরে কিছুটা ভরাট করা হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বছর কাজে ভাটা পড়ে। বর্তমান পুকুরটি তখন ছোট একটি ডোবার মতো ছিল। বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পর টেষ্ট রিলিফের গম দিয়ে পুকুর কেটে জমি ভরাট করা হয়। সরকারি অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত টিন ও কাঠ দিয়ে পুকুরের পূর্বদিকে রাস্তার পাশে টিনের ঘর উঠানো হয়।
১৯৭১ খ্রি. মরহুম সেরাজুল হক অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে যোগদান করলে কলেজটি সরকারের সুনজরে পড়ে। মরহুম সেরাজুল হক সাহেব ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লে, জে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেবের ভগ্নিপতি। কলেজের মুল ভবনের ভিত্তি প্রস্তর অধ্যক্ষ মহোদয়ের দ্বারা স্থাপন করে ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়। ভবনের কাজ শেষ হবার আগেই অধ্যক্ষ সেরাজুল হক মহোদয় উলিপুরেই ইন্তেকাল করেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ে কলেজটির প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন উলিপুরের কৃতী সন্তান জনাব এ, কে এম মাঈদুল ইসলাম। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সার্বিক সহযোগিতায় কলেজের সুবৃহৎ পুকুরটির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ২০০ ফুট লম্বা দুইটি আধাপাকা টিনের ঘর তৈরি করা হয়। ১৯৮০ খ্রি. কলেজটি তার নিজস্ব জায়গায় এবং ভবনে স্থানান্তরিত হয়। এই ভবনের উদ্বোধন করেন শহীদ প্রেসিন্ডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রি সভার ডাক, তার ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রি জনাব এ, কে এম মাঈদুল ইসলাম।
১৯৮৭ খ্রি. উলিপুর ডিগ্রি কলেজটিকে সরকারিকরণ করা হয়। এসময়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। প্রেসিডেন্ট এরশাদের মন্ত্রি সভায় বিভিন্ন সময়ে জনাব মাঈদুল ইসলাম ভূমি, জাহাজ চলাচল, পাট, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালের ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট এরশাদ উলিপুরে স্টেডিয়াম মাঠের জনসভায় উলিপুর ডিগ্রি কলেজকে সরকারিকরণের ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার অন্তরালে তৎকালীন মন্ত্রী জনাব এ কে এম মাঈদুল ইসলাম সাহেবের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয়। তাঁর শিক্ষানুরাগ প্রচেষ্টা, একাগ্রতা এবং কর্মদক্ষতা ছাড়া এই ঘোষণা সম্ভব ছিলনা। এ সময়ে জনাব শেখ আহামদ হোসাইন ছিলেন অধ্যক্ষ। সরকারিকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন হলে সর্বজ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অফিসার ইন চার্জ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
বেসরকারি আমলে বিভিন্ন সময়ে কর্মরত অধ্যক্ষবৃন্দ হলেন ঃ
১। এ. রফিকুল ইসলামঅধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)১৯৬৪
২। মোঃ আব্দুর রশিদঅধ্যক্ষ১৯৬৫
৩।শ্রী সুধাংশু মোহন সরকার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত,উপাধ্যক্ষ)১৯৬৯
৪।মোঃ আব্দুর রহমানঅধ্যক্ষ১৯৬৯
৫।মোঃ ময়েন উদ্দিন চৌধুরীঅধ্যক্ষ১৯৭০
৬।শ্রী সুধাংশু মোহন সরকারঅধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)১৯৭১
৭।মোঃ আব্দুস সোবাহানঅধ্যক্ষ১৯৭১
৮।মোঃ আব্দুর রহমানঅধ্যক্ষ১৯৭৫
৯।মোঃ সেরাজুল হকঅধ্যক্ষ১৯৭৬
১০।শ্রী সুধাংশু মোহন সরকারঅধ্যক্ষ১৯৭৭
১১।মোঃ আবদুল হামিদ সরকার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)১৯৭৭
১২।হরি গোপাল সরকারঅধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)১৯৭৯
১৩।শেখ আহমদ হোসাইনঅধ্যক্ষ ১৯৮০
(নোট ঃ কলেজের বর্ণিত ইতিহাসটি কলেজটি সরকারিকরণের পর দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যক্ষ (সহকারী অধ্যাপক ও অফিসার ইন চার্জ পরবর্তীতে সহযোগী অধ্যাপক), বাবু হরি গোপাল সরকার কর্তৃক রচিত “উলিপুর বি. ডি কলেজের কথা” শিরোনামে প্রকাশিত প্রবদ্ধ থেকে সংগৃহীত)।